হরতাল...সঞ্জয় সরকার
কাহারবা নয়, দাদ্রা নয়
নয় খেমটা তাল
এমন একটি ‘তাল’-এর নাম
হরতাল! হরতাল!
এই তালে গান হয় না
হয় না কোনো নাচÑ
এই তালে ঝনঝনিয়ে
ভাঙ্গে গাড়ির কাঁচ
এই তালটির অপর নাম
জ্বালাও এবং পোড়াও
হাতবোমা ও ককটেলে
লাল-রং টেপ মোড়াও
এই তালটির নাম দেয়া যায়
রাজনৈতিক ক্রোধ
ধরপাকড়, জঙ্গী মিছিল
রাস্তা অবরোধ
কিন্তু যারা আমজনতা
চায় না এমন তাল
তাদের চাওয়া শান্তি-সুখে
কাটুক দেশ ও কাল। | একটা ছেলে একটি মেয়ে
...সঞ্জয় সরকার
একটা মেয়ে বাসে চড়ে
কোথায় যেন যাচ্ছিল
জানালাটার পাশ ধরে
চিনা বাদাম খাচ্ছিল।
একটা ছেলে তাকে দেখে
ভীষণ মজা পাচ্ছিল
লাজুক রাঙা চোখে চোখে
কী যেন সে চাচ্ছিল।
খানিক পর ছেলে-মেয়ে
দু’জনাই যে হাসছিল
দুজনকি দু’জনাকেই
ভাল-টাল বাসছিল?
ভেবে ভেবে এই মন
সারাক্ষণ কাঁপছিল
হৃদয়ে তখন খুব
প্রেসারের চাপছিল। |
পড়শি
..সঞ্জয় সরকার
তুই আমার পড়শি
তোর জন্য পেতেছিলাম
চণ্ডীদাসের বড়শি।
আপনি থেকে তুমি হলে
তুমি থেকে তুই
জানত কে আর তুই যে হবি
সোনামুখী সুই।
তুই যে বড় চালাক
ভালবাসার আগেই তোকে
দিতে হলো তালাক। | .. সঞ্জয় সরকার
॥ এক ॥
ও টুনি তোর হৃদয় কোনের পড়শি
একটু খানি অংশ দে
নইলে আমি বিল উঠাবো
তোর বিরুদ্ধে সংসদে
॥ দুই ॥
মনের গাঙে জোয়ার এলে
নৌকা চলে উজানে
আড়ালে থেকে গুন টানে
পাশের বাড়ির বু’জানে।
॥ তিন ॥
এক বিকেলে পার্কে
গিয়ে দেখি স্যারকে
কী জানি কি বলছেন
সাবিকুন্-নাহারকে
কাউকে তা বলিনি
চেপে রাখি ডার্ক-এ। |
অসতর্ক
....মাহমুদ সীমান্ত
নদী ছিলো কিংবা ধরো ছিলো না কখনো অন্ধ চোখ তার, দৃষ্টিকালা- দেখে এক রাশিমালা অসতর্ক আয়নায় ঠুনক্ বলেই ভেঙে যায় মূলভাব। এখন দেখতে পাই- তুই যা পারিস, সহজেই দূরে গিয়ে পারলে দেখিস কেটে আনারস! আছে তার দুর্দান্ত সবুজ। ছোট হোক, ধরবে না ভোগের রশ্মিতে সমুদ্রের খুব নিচে গোপন সিন্দুকে তুই তার কিছুই বুঝবি না। ভয় শুধু, ডাকু এলে নিয়ে নেবে তোর থেকে নদীর বিভ্রম ঢেউ থেকে জেগে থাকা তীরের বেদনা। |
সকাল
....মাহমুদ সীমান্ত
এক পশলা রোদ্দুর এসে ছিনিয়ে নেয় সকাল ফলে ঘুম ঘুম চোখে কোনদিন সকাল দেখা হলো না! প্রতিদিন ভাবি, কাঁচাবাজার থেকে সকাল কিনে আনবো;কিন্তু হায়! প্রতিদিনই সকালগুলো দূরে আরো দূরে চলে যায় তাদের বাড়িতে, যারা প্রতিদিন সকাল মাথায় করে পসরা সাজায়। তাদের ঘরে কেবল ভোর ভোর চোখে মা আর মেয়েটি সকাল মাথায় তোলে কর্তাটিকে গঞ্জের দিকে এগিয়ে দেয়। ওই ঘরে খোঁড়া রোদ, বাজার ফেরত রুটিগুলো গিজগিজ করে। |