সোনালী নিভের আলো


সরোজ মোস্তফা : 
এক
সোনালী নিভের পাইলট কলমটা যে আনিসের এটা আমি জানতাম
ক্লাসরুমে আনিস আর আমি যখন পাশাপাশি বসেছি তখন ওর এই কলমটার দিকে অনেক বারই তাকিয়ে থেকেছি ভিক্ষুকের মতো না তাকিয়ে কলমটার সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে থেকেছি দুএকবার ছুয়েঁও দেখেছিখাতায় দুএকটা বাক্য কিংবা আচর কেটে পরখ করেছি কলমের নির্ঝরসেই কলমটাই আনিস হারিয়ে ফেলেছে সেই
কলমটাই আমি ক্লাসরুমের বেঞ্চের নিচ থেকে কুড়িয়ে পেয়েছিপেয়ে আনিসের হাতে তুলে না দিয়ে নিজের ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেছি

তখন থেকেই শুরু হয়েছে যন্ত্রণামনে হচ্ছে ক্লাস রুমের দরজা-জানালা সব বন্ধ হয়ে গেছেআমি শব্দহীন অন্ধকার একটা ঘরে আটকা পড়ে গেছিআমি আর বেরোতে পারবো নাহঠা করেই ব্যাগটা এতো ভারী হয়ে গেছে যে এই ভারী ব্যাগ কাঁধে নেবার শক্তি আর আমার নেইআমি জানি আমার চেহারাটা এখন রুটি সেঁক দেওয়ার তাওয়ার মতো হয়ে গেছেএই অদ্ভুত ঘামে ভেজা চেহারা দেখে ক্লাস রুমের জড় বেঞ্চি গুলো পর্যন্ত হাসাহাসি করছেওদের এই হাসি ঠাট্টার আঘাত থেকে বাঁচতে আমি দুহাতে নিজের মুখ ঢেকে ফেলেছি কিন্তু কিছুতেই নিজেকে রক্ষা করতে পারছি নাবুকের ভেতরটা কলা পাতার মতো থেমে থেমে কাঁপছে
ঘটনাটা ঘটেছে টিফিন পিরিয়ডেতারপর পঞ্চম পিরিয়ডে বিজ্ঞান ক্লাস হলো৬ষ্ঠ পিরিয়ডে ইতিহাস ক্লাস সপ্তম পিডিয়ডে সিদ্দিক স্যার যখন ভূগোল ক্লাসে বাংলাদেশের মানচিত্র আঁকতে দিলেন তখনই প্রয়োজন হলো কলমেরতখনই আনিস টের পেল তার কলম হারিয়েছে্ ক্লাসের সবাই ব্যাপারটা তখনই জানলোসিদ্দিক স্যারও জানালেন যে আনিসের কলমটা হারিয়ে গেছে
কিন্তু আমি স্বীকার করিনিব্যাগের ভেতরে কলমটা ঢুকানোর পর থেকেই আমি ভয়ে সংকুচিত হয়ে ছিলামসন্ধ্যার গাছের পাতাদের মতো নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে ক্লাস রুমের এক কোণায় বসে ছিলামভয়ংকর ভয় উঁকি দিচ্ছিল আমার মনে
কারণ সবাই ভাববে মাহাবুব ছেলেটা চোরস্কুলে কেউ আমার সঙ্গে মিশবে নাটিফিন পিরিয়ডে সবাই দল বেধেঁ লোহার গেট পেরিয়ে রাস্তার ধারে বাদাম খেতে যাবেচালতার আচার খেতে যাবেআইসক্রিম খেতে যাবেআমাকে ডাকবেও না কেউযেন আমি তাদের কেউ না যেন আমি তাদের বন্ধু ছিলাম না কোন দিনআমাকে হয়তো লাস্ট বেঞ্চের এক কোণায় একা একা বসতে হবেক্লাস রুমে ঢুকে স্যারেরা হয়তো হাসি হাসি চোখে সবার চোখের দিকেই তাকাবেকিন্তু ভুল করেও আমার চোখের দিকে তাকাবেন নাকিংবা তাকালেও ঘৃণার সে অন্ধকার চোকে অনেক তিরষ্কার থাকবেবিকাল বেলায় কলোনির মাঠে ক্রিকেট খেলতে গেলে কেউ আমাকে খেলায় নিবে না সবাই হয়তো আঙুল তুলে বলবে এই ছেলেটা কলম চোর আমরা কলম চোরের সাথে খেলি নামাঠের এক কোণায় আমাকে তখন নীরব ঘাসের সঙ্গি হয়ে বসে থাকতে হবেমাথার উপর দিয়ে ঘরে ফেরা পাখিরা আমাকে দেখে তিরষ্কারের সুর ছড়াবেসে সুরে অনেক বিষাদসে সুরে অনেক যন্ত্রণা
আমি তাই স্বীকার করিনি যে কলমটা আমার ব্যাগেই আছে বেঞ্চের নিচে থেকে কলমটা আমি কুড়িয়ে পেয়েছিকুড়িয়ে পেয়েই মুহুর্তের ইচ্ছায় কলমটাকে ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেছি
দুই
স্কুল ছুটির পর রাজ্যের উচ্ছ্বাস নিয়ে দল বেঁধে বাড়ি ফিরি আমরাকিন্তু আজকে দলছুট হয়ে বাড়ি ফিরলামনিজের কাছে নিজের এই চেহারাটাকে মনে হচ্ছিল গাব গাছের ছড়ানো অন্ধকারবারবার মনে হচ্ছে শুধু কলমটা ব্যাগে রাখার পাপে গর্ত হয়ে গেছে আমার চেহারাহাজার লোকের ভীড় থেকে যে কেউ এ চেহারাকে আলাদা করতে পারবে
বাসায় ফিরতেই কুচকানো এই চেহারার জন্যই হয়তোবা মার কাছে ধরা পড়ে গেলামমা বললেন, কিরে মাহাবুব; তো কি কিছু হয়েছেস্কুলে কারো সাথে ঝগড়া করেছিস, নাকি স্যারদের বকা খেয়েছিসমুখটা কালো ছাতার মতো কালো করে রেখেছিস কেন ?
স্কুলে কী হয়েছে জানতে অনেক পীড়াপীড়ি করলেন মাকিন্তু কিছুই স্বীকার করতে পারলাম নানদীর সমস্ত ঢেউ যেভাবে তীরে এসে ধাক্কা খায় মার জিজ্ঞাসা গুলোও আমার বুকের ভেতরে প্রচন্ড ধাক্কা দিতে লাগলোকিন্তু কিছুই স্বীকার করতে পারলাম না মাকে বললাম-
ভাত বেরে দাওঅনেক ক্ষুধা লেগেছে
পেটের ভেতরে অনেক ক্ষুধাবাটিতে আমার প্রিয় বোয়াল মাছের তরকারি কিন্তু ভাত যেন গলা দিয়ে নামতে চায় নাভাত যেন পেটের ভেতর ঢুকতে চায় নাতবু চেষ্টা করে পানি দিয়ে ঢুক গিলে কয়েক গরাস ভাত খেলাম
মা অবাক চোখে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ মাহাবুব তোর কি শরীর খারাপবোয়াল মাছের তরকারি কি স্বাদ হয়নি
স্বাদ হয়েছে মাপেটে ক্ষুধাও আছেকিন্তু খেতে পারছি না গলা দিয়ে ভাত নামছে না মাগলা ব্যাথা করছে
তোর শরীরে কি জ্বর ? বলে মা কপাল ছুঁলেনগা ছুঁলেনবললেন, – শরীরে তো তেমন তাপ নেইতবে ভেতরে ভেতরে জ্বর থাকতে পারেসে জন্যই হয়তো গলা ব্যথা করছে তুই রুমে গিয়ে শুয়ে থাকতোর জন্য আমি গরম দুধ নিয়ে আসছিআজকে মাঠে খেলতে যাবিনা কিন্তু
তিন
শুয়েই ছিলামকিন্তু শুয়ে থাকতে আর কতক্ষণ ভাল লাগেবিকালে ঠিকই মাঠে গেলামআমাদের কলোনির মাঠটা অনেক বড়প্রতি বছর এ মাঠে টেপ টেনিসেরক্রিকেট টুনামেন্ট হয়জুনিয়র- সিনিয়রেরা মিলেমিশে এ মাঠে রোজ বিকালে ক্রিকেট খেলি আমরাআজকে আমি খেললাম সিনিয়র একাদশের বকুল ভাইদের সাথেবকুল ভাই কলেজে পড়েন আর আমি অষ্টম শ্রেণীতেক্রিকেট খেলায় পড়াপড়ি কিংবা বড় ছোট কোন সমস্যা নারান করাটাই হচ্ছে বড় কথাঅপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে একটা সুনাম এর মধ্যেই আমার ব্যাট করে নিয়েছে
কিন্তু আজকের ম্যাচে এটা আমি কী করলামপ্রথম বলেই বোল্ডবাকি সময়টা মাঠের কোনায় বসে দুহাত দু গালে রেখে অন্যদের খেলা দেখতে থাকলাম
রাতে পড়ার টেবিলে বসে নিজেই নিজের সাথে কথা বললামব্যাগ থেকে কলমটা বের করে ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখতে লাগলামএতোদিন আনিসের হাতে যে কলমটাকে খুব সুন্দর মনে হতো সে কলমটাকেই এখন মনে হচ্ছে কামার বাড়ির হাপড়ে পুড়ানো গনগনে লোহাএ কলম ছুঁলেই আমার হাত পুড়ে যাবেএ কলম শুধু আনিসের
ও ঘর থেকে মার ডাক শুনে বুকটা আবারও কেপে উঠলো কাপা কাপা হাতে কলমটাকে আবারো ব্যাগের ভেতরে ঢুকিয়ে ফেললামকলমটাকে ব্যাগের ভেতরে লুকিয়ে মনে হলো কিছুটা হলেও শান্তি পেলাম
অনেক যত্ন করে হাতে তুলে খাইয়ে দিলেন মাআমার যখন জ্বর হয়, স্কুলে পরীক্ষা শুরু হয়, খাবার নিয়ে তখন আমি খুব ঘ্যান ঘ্যান করিমা তখন হাতে তুলে ঘাইয়ে দেয়
চার
বিছানায় এ পাশ-ও পাশ করতে করতে মাঝ রাতে কখন যে ঘুমিয়েছি জানি নাজেগে উঠে দেখি রোদে চিকচিক করছে জানালাজানালার পাশে পেঁপে গাছটার সবুজে নাচানাচি করছে ছোট একটা টুনটুনি পাখিপাখিদের ডানা ওয়ালা জীবনের মজাটাই আলাদাপাখিরা পাপহীন ডানা ওয়ালা জীবন নিয়ে ঘুরে বেড়ায়বিছানা ছাড়তে ছাড়তেই মনে হল পাখিদের মত ডানা থাকলে আমি নীল পাহাড়ে উড়ে যেতামপাপে বোঝাই আমার ব্যাগটাকে পাহাড়ের খাদে ফেলে দিয়ে একা একা বসে থাকতামতার পর সূর্য ডোবার উচ্ছ্বাস নিয়ে ঘরে ফিরতামকিন্তু আমিতো পাখি নাআমি মাহাবুব, অষ্টম শ্রেণীতে পড়িগতকাল আনিসের কলমটা ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলেছি
এই সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতেই মনে হলো মাকে এখনই এই কলমের কথাটা বলতে হবেমনে হলো বুকের ভেতরে গিঁথে থাকা এই পাপের কথা মাকে না বলা পর্যন্ত আমার মনে শান্তি আসবে নাআমি পেঁপে গাছটার ডালে নাচা নাচি করা ছোট টুনটুনি পাখিটার মত হতে চাইযার সবটাই সুন্দর
ওহ! আমি কেন আনিসের কলমটা ব্যাগে ঢুকাতে গেলামআল্লাহ তুমি আমাকে মাফ করে দাও
মা তখন রান্না ঘরেচামচ দিয়ে বগলানো ভাতের হাড়ি থেকে ভাত নিয়ে দেখছেন ভাত ফুটেছে কিনাজানালা দিয়ে ঢুকা ভোরের আলোয় মাকে খুব সুন্দর লাগছেদ্বিধায়, সঙ্কোচে মায়ের আঁচলের খুব কাছে দাঁড়ালামচোখা চোখি হতেই মা কে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললামসব স্বীকার করলাম
কলমটা হাতে নিয়ে মা বললেন,- ‘এরকম একটা কলম কি তোমার খুব পছন্দ
আমি জানি না প্রথম কবে আনিসের হাতে এই কলম দেখেছিতবে প্রথম দেখাতেই কলমটার প্রতি মুগ্ধ হয়েছিক্লাসে স্যারেরা কিছু লিখতে দিলে নিজের লেখা বন্ধ করে অনেক বারই আনিসের আঙ্গুলে ধরা আনিসের কলমের দিকে তাকিয়ে থেকেছিবিশ্বাস কর মাকোন দিন চিন্তাও করিনি যে এই কলমটা আমি ব্যাগে ঢুকিয়ে ফেলবোভাবতেও পারিনি আমার হাত এরকম একটা জঘন্য কাজ করবে
কথা শোনার পর মা অনেকক্ষণ চুপ করে রইলেনমাকে দুহাতে জড়িয়ে ধরে আমিও চুপ করে রইলামবাইরে পেঁপে গাছের সবুজে রোদ তখন চিক চিক করছেঅনেকক্ষণ চুপ থাকার পর মা আদরে দুহাত দিয়ে আমার মুখটা তুলে ধরে বল্লেন
-
তুই তো কোন দিন বলিস নি যে এরকম একটা কলম তোর খুব পছন্দবললে তোকে অবশ্যই আমি এর চেয়েও সুন্দর কলম কিনে দিতামকিন্তু আনিসের কলমটা, আনিসের হাতে তুলে না দিয়ে নিজের ব্যাগে ভরে নিয়ে এসেছিসকত বড় অন্যায় তুই করেছিস এটা কি তুই বুঝতে পারছিস
আমি খুব বুঝতে পারছি মাজানলার পাশের এই নিশ্চুপ পেঁপে গাছটাও বুঝতে পারছে আমার মনের অবস্থাআমি কোথাও মনযোগ দিতে পারছি নানিজের চেহারার দিকে তাকাতে পারছি নাকলমটাকে আর কলম মনে হচ্ছে নামনে হচ্ছে একটা বিষাক্ত সাপ আমার ব্যাগে ফণা তুলে বসে আছেকিন্তু কাউকেই কিছু বলতে পারছি না আমিমনে হচ্ছে বুকের ভেতরটা একটা ভারী পাথরের জড়বস্তুআমি বুঝে গেছি মা পাপ করার কষ্ট অনেক
আমি খুশি, তুমি তোমার ভুল বুঝতে পেরেছআমি চাই গতকালের সত্যি ঘটনাটা তুমি আনিসকে, তোমার স্যারকে খুলে বলবেতাহলে তোমার মন থেকে সব কষ্ট দূর হয়ে যাবেতাহলেই তুমি টুনটুনি পাখিটার মত মন খুলে তাকাতে পারবে, হাসতে পারবেদেখবে চারপাশের সবাই সুন্দরআর মনে রাখবে অন্যের জিনিস সব সময়ই অন্যেরসে জিনিসে তুমি লোভ করবে না
পাঁচ
প্রতিদিনের মতোই আজো এসেম্বলিতে ডান হাত তুলে শপথ নিলাম আমরাদেশকে, দেশের মানুষকে ভালবাসবোদায়িত্ব নিয়ে কাজ করবোভাবে জীবন যাপন করবোসত্য কথা বলবো
এসেম্বলির পর আমি সরাসরি সিদ্দিক স্যারের কাছে গেলামগতকালের সব ঘটনা খুলে বললাম বললাম যে, টিফিন পিরিয়ডের সময় বেঞ্চের নিচ থেকে কলমটা আমি কুড়িয়ে পেয়ে ব্যাগে ভরে ফেলেছিলামতারপর এতো মানুষের সামনে লজ্জায় কিছু বলতে পারিনি
সব শুনে সিদ্দিক স্যার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে আমাকে জড়িয়ে ধরলেনআনিসকে ডেকে তার কলমটি ফেরত দিয়ে বললেন যে, ‘ মাহাবুব তোমার কলমটা কুড়িয়ে পেয়েছে ও কে ধন্যবাদ দাও
আনিসও খুশির একটা হাসি দিয়ে হ্যান্ডশেক করলোনিজেকে তখন মনে হচ্ছিল খাঁচা থেকে মুক্তি পাওয়া উড়ন্ত পাখি
স্যারকে সালাম দিয়ে চলে আসার সময় স্যার আবার আমাকে জড়িয়ে ধরলেনমাথায় আঙুল বুলাতে বুলাতে বললেন, ‘ আমি অনেক দোয়া করি মাহাবুব তুমি অনেক বড় মানুষ হওআমার বিশ্বাস তুমি অবশ্যই অনেক বড় মানুষ হবা
ছয়
স্কুল ছুটির পর অন্যরকম উল্লাস নিয়ে বাড়ি ফিরছি আজ আসন্ন বিকেলের এই রোদ শালিখ পাখির ডানার মত কোমলনিজেকে আজ প্রজাপতির মতো হালকা মনে হচ্ছেযেন আনন্দে এ গাছ থেকে সে গাছে ছুটাছুটি করছি আমিগত কালের থেকে আজকের দিনটা অনেক সুন্দর অনেক সুন্দর আমার মুখএতো আনন্দের মধ্যেও গানের সুরের মতো ভেসে বেড়াচ্ছে সিদ্দিক স্যারের কথা গুলো, ‘ আমার বিশ্বাস তুমি অবশ্যই অনেক বড় মানুষ হবে
বাড়ি ফিরেই মাকে জড়িয়ে ধরলামঅজকের সব ঘটনা খুলে বললাম মা মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে হাসি মুখে বললেন- মাহাবুব ঘরে য্ াতোর টেবিলে তোর জন্য একটা পুরস্কার রাখা আছে
রুমে ঢুকেই দেখি টেবিলের উপর গিফ্ট পেপারে মোড়ানো একটা কলমের প্যাকেটপ্যাকটটা খুলতেই দেখি সোনালী নিভের সেই পাইলট কলমতবে এই কলমটা অন্য কারো নাশুধুই আমারপাঁচ আঙুলে ধরা আমার স্বপ্নের পাইলট কলম

 
Design by নেত্রকোনার আলো | সম্পাদক - সোহেল রেজা | Email-netrakonaralo@gmail.com